অভ্যুত্থানের শহীদদের জাদুঘরে গেলেই স্মৃতিতে ভাসবে জুলাই-আগস্ট
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্ট যোদ্ধারা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আমরা অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় একটা স্মৃতি জাদুঘর করতেছি, যেখানে মানুষ গেলেই এই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ভেসে উঠবে।’
শনিবার তিনি প্রত্যাশা করেন, ‘আমরা শুরু করেছি, সামনে যারা আসবে তারাও এগুলো ধরে রাখবে।’ তিনি কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত পাঁচজনকে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
শনিবার বিকেলে পেকুয়া উপজেলা মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই সময় সংস্কৃতি উপদেষ্টা পাঁচজন আহত জুলাই যোদ্ধার হাতে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
পরে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দ্বিতীয় শহীদ, পেকুয়ার সন্তান ওয়াসিম আকরামের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিমের বাড়িতে এসেছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্মৃতি জাদুঘরের জন্য ওয়াসিমের কিছু স্মৃতি সংগ্রহের জন্য।’ রোববার চট্টগ্রামের আরো তিনজন শহীদ শান্ত, ওমর ফারুক ও শহিদের বাড়িতে যাবো। এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কমিটি রয়েছে, তারা সব শহীদদের বাড়িতে গিয়ে তাদের স্মৃতিচিহ্নগুলো সংগ্রহ করবে। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম তা দেখে দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসে। সরকার তাদের এই অবদানের স্বীকৃতি দিচ্ছে।
এসব আনুষ্ঠানিকতায় উপদেষ্টার সাথে ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, সিনিয়র এএসপি সার্কেল (মহেশখালী) মানবেন্দ্র, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর পেয়ারা বেগম, পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা ও শহীদ ওয়াসিম আকরামের বাবা শফিউল আলম।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা যাদের হাতে চেক তুলে দেন তাদের মধ্যে আছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধা আমিনুল হাসান রাফি, আকিল বিন জাকের, হেলাল উদ্দিন, সায়েদ মোহাম্মদ শামীম ও মাকসাদুল মুনতাসীর।