শহীদ রাষ্ট্রপতি (বীর উত্তম) জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপি-মেহেরপুরে আয়োজিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মোঃ আব্দুল হামিদ মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুর জেলা বিএনপি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মাসুদ অরুণ
লাঠি হাতে ফিরবো প্রয়োজনে, দেখবো কার হাতে কত শক্তি
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন বলেছেন, এই কমিটির সুযোগ নিয়ে, এই অযোগ্য নেতৃত্বের সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় কমিটির সদস্য হচ্ছে, যারা কমিটি ও দল গোছানোর দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদের সাবধান করি এইসব ফ্যাসিস্টের দোসরদের কমিটিতে প্রশ্রয় দিবেন না,যদি দেন, আমরা বাধ্য হবো ধরে নিয়ে থানায় জমা দিতে।
মনে রাখবেন, প্রতিরোধ করার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন, তা আমাদের আছে,হাজার হাজার মানুষ প্রয়োজন হলে লাঠি হাতে করে ফিরতে হবে দেখবো কাদের হাতে কত শক্তি।
শহীদ রাষ্ট্রপতি (বীর উত্তম) জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মাসুদ অরুন।
তিনি আরো বলেন, আমরা জানি, আওয়ামী লীগের সেই নিপীড়নকারী শক্তি আমাদের কমিটির উপর ভর করে আমাদের নির্যাতিত মানুষদের কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা চলছে,ধৈর্যের সীমা আছে,প্রশাসনের মধ্যে এখনো আওয়ামী লীগের ভূত বাস করছে।
প্রশাসনকে বলি সতর্ক হবেন, ঈদের পর নাম ধরে ধরে ঘেরাও করা হবে,জনগণের বাইরে গিয়ে, মেহেরপুরের মানুষের স্বার্থের বাইরে গিয়ে কোনো কর্মকাণ্ড দল বা প্রশাসন কাউকে আমরা চালাতে দেব না, ইনশাল্লাহ।
শনিবার ৩১ মে-২০২৫ সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের দলে কিছু শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ছিল,সেই শহীদরা কবরে শহীদ হয়নি এখনো জীবিতই আছে! তারা বিরাট মুক্তিযোদ্ধা, আমি জানি না, তারা কোথায় যুদ্ধ করেছে।
আমরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৬-১৭ বছর যুদ্ধ করেছি, মাসুদ অরণ্যের নেতৃত্বে, যারা মিল্টনের আগে বক্তব্য দিতে নাক সিটকাত, তারা আজ মিল্টনের ব্যাগ বয়ে বেড়াচ্ছে, চা বয়ে বেড়াচ্ছে,এই হলো আমাদের সিনিয়র নেতা যারা কখনোই কোনো সংগ্রামী ছিল না।
যুবলীগের পদে আছে যুবলীগের সভাপতি সে হচ্ছে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি,আমাদের আমঝুপিতে প্রতিরোধ হয়েছে, পরে রাতের আঁধারে কমিটি করেছে,একজনের নাম হয়েছে চঞ্চল সে সারা জীবন আওয়ামী লীগ করল,প্রতিটি আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে বুদ্ধিজীবী হিসেবে থাকতো, জীবনেও তাকে বিএনপির ধারের কাছেও দেখিনি, সে হয়েছে ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি।
আলোচনা সভায় জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজিরসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।